প্রত্যয় ডেস্ক: সুইস বিজ্ঞানীরা বিশ্বের সবচেয়ে হালকা সোনা তৈরির দাবি করেছেন। তাদের তৈরি সোনার টুকরাটি ২০ ক্যারেটের। এটি দেখতে বেশ চকচকে। খুব পাতলা বলে সামান্য চাপেই এটির আকৃতি বদলে যায়। আরও লক্ষণীয় হলো, স্বর্ণের টুকরাটি এটি এতই হালকা যে দুধের ফেনাতেও এটি অনায়াসে ভাসে।
সুইজারল্যান্ডের ইটিএইচ জুরিখের খাদ্য ও নমনীয় বস্তু-বিষয়ক অধ্যাপক রাফায়েল মেজেনজা এ গবেষণায় নেতৃত্ব দেন। তিনি জানান, প্রচলিত সোনার চেয়ে এটি হাজার গুণে হালকা। তার মতে, এটি বাতাসের মতো হালকা। কেননা হালকা এ সোনার টুকরার ৯৮ শতাংশই বাতাস। আর মাত্র ২ শতাংশ কঠিন পদার্থ। সোনার মতোই চমক দেয় এটি। তবে দুই আঙুলের চাপেই এটিকে পিষে ফেলা যায়।
অ্যাডভান্সড ম্যাটারিয়ালস সাময়িকীতে বিজ্ঞানীরা আরও জানান, হালকা ওই সোনার টুকরার মধ্যে যেটুকু কঠিন পদার্থ আছে, এর ৫ শতাংশের ৪ শতাংশ হলো সোনা। আর ১ শতাংশ দুধের প্রোটিন ফিব্রিলস (এক ধরনের ফাইবার)। এতটা হালকা সোনা তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে তারা জানান, প্রথমে দুধের প্রোটিন উত্তপ্ত করে অ্যামাইলয়েড ফিব্রিলস তৈরি করা হয়েছে। সেটিকে ঢেলে দেওয়া হয়েছে স্বর্ণলবণের দ্রবণে।
দুয়ে মিলে এক ধরনের থকথকে বস্তু তৈরি হয়েছে, যেটিকে বিজ্ঞানীরা বলছেন স্বর্ণতন্তু। নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে এটিকে শুকাতে অবশ্য সাধারণ বাতাসের পরিবর্তে কার্বন ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করা হয়েছে। এরপর তারা পেয়েছেন তাদের দাবি মতে পৃথিবীর সবচেয়ে হালকা সোনা। টিওআই